দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাতিল হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে স্থগিত হওয়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম ইসির আদেশক্রমে এই তারিখ ঘোষণা করেছেন।
একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিল, রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, আপিল নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের তারিখ জানিয়েও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নওগাঁ- ২ আসনের প্রার্থী মো. আমিনুল হকের মৃত্যুর কারণে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১৭ অনুচ্ছেদের (২) দফার বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১১ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট ভোটারগণকে আহ্বান জানাচ্ছে।
এক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি, রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র বাছাই করবেন ১৮ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে ১৯-২৩ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৪ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৬ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
তবে গত বছরের ১৫ নভেম্বর নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণার পর ইতোপূর্বে যাদের নাম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে, তাদেরকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না এবং জামানতের অর্থও জমা দিতে হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এর আগে অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছিলেন, আইন অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো বৈধ প্রার্থী যদি মারা যান অথবা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১-ক ও ৯১-ঙ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী, যদি প্রার্থিতা বাতিল হয়। তবে, অনুচ্ছেদ ১৭ এর দফা-১ অনুসারে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বাতিল করার বিধান রয়েছে। অতঃপর গৃহীত ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা দেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুতে আইন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।