ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪:২৪ অপরাহ্ণ
জাতীয়ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর-আগুন

ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর-আগুন

spot_img

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। একইসঙ্গে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা।

বুধবার রাত ৮টার পর থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। সময় বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে জনতার ভিড়ও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে জনতা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। লাঠিসোঁটা ও শাবল হাতে ভাঙচুরে যোগ দেন অনেকে।

এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রাত ৮টার দিকে বাড়িটিতে প্রবেশ করেন তারা। এরপর বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। একই সঙ্গে প্রবেশমুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে দেখা যায়, পুরো বিল্ডিংয়ের অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় তলার একাংশে দেয়া হয় আগুন। যদিও এর আগে ৫ আগস্ট ৩২ নম্বরের এই বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছিল।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আজকে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির সামনে ভাষণ দেবে। যে আমাদের ভাইদের গুলি করে দেশ থেকে পালিয়েছে, সে কী করে কর্মসূচি ঘোষণা করে। আমরা এ দেশে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার কোনো অস্তিত্ব রাখব না।

এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টার দিকে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।

এদিকে, কর্মসূচির কারণে ধানমণ্ডি এলাকাল নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হলেও রাস্তার ওপর দুটো পুলিশ ভ্যান ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো অবস্থান ওই এলাকায় দেখা যায়নি।

মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, যিনি ৫ অগাস্টের পর থেকে ভারতে পালিয়ে আছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে, যাদের নেতৃত্বে গত বছরের জুলাই-অগাস্টের গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল।

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি।’

পরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফেসবুকে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর