ঢাকা | শুক্রবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ
সারাদেশধনবাড়ীতে কপি চাষে সুদিন ফিরছে কৃষকদের

ধনবাড়ীতে কপি চাষে সুদিন ফিরছে কৃষকদের

spot_img

ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া (Brassica oleracea) প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। এটি একটি বার্ষিক ফসল যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।

টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলাতে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের আশায় প্রান্তিক চাষিরা পরিচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর চাষিরা ভালো দামের আশায় আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষাবাদ করে আসছেন। ফলে শীত শুরুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে নানামুখী ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সফলতার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব চাষাবাদ করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে জীবনজীবিকা নির্বাহ করছেন ধনবাড়ী অঞ্চলের শত শত চাষি।

ধনবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কোনো জমি আর পতিত নেই বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজের সমাহার।ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঝিনাই নদীর তীরে ও বিভিন্ন এলাকা গিয়ে দেখা গেছে শত শত কৃষক পতিত জমিতে আগাম জাতের কেউ ফুলকপি আবার কেউ বাঁধাকপি চাষ করেছেন। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই স্বপ্নের ফসল ফুলকপি ও বাঁধাকপি ব্যাপক হারে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। যে সব চাষির নিজস্ব জমি না থাকলেও তারা অন্যের জমি লিজ (কন্ট্রাক) নিয়ে আগাম হাইব্রিড জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এ অঞ্চলের মানুষ সাধারণত সারা বছর আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

মুশুদ্দি এলাকার কৃষক জলিল ও ফরিদ উদ্দিন জানান, তারা প্রত্যেকেই ১ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি চাষবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এখন পর্যন্ত ক্ষেতে বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই দুই কৃষক আরো জানান, প্রতিবিঘায় ফুলকপি চাষাবাদে খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আশা করছি আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ফুলকপি বিক্রি করতে পারবো। বর্তমানে যে বাজারমূল্য দেখা যাচ্ছে এ রকম বাজারমূল্য থাকলে তারা ১ বিঘা জমিতে খরচ বাদে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান।

ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আগাম হাইব্রিড জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করেছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে চাষিরা বাধাকপি ২৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ৩০ হেক্টর জমিতে চাষবাদ করেছেন। যা এখনও রোপণ প্রক্রিয়া চলমান আছে। অধিকাংশ কৃষক আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে ফুলকপি বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। আশাকরছি কৃষকরা ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন।

spot_img

সম্পর্কিত আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর