অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষকে হত্যা আর দেশের সম্পদ ধ্বংস করাই বিএনপির আন্দোলন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। আন্দোলনের নামে তারা যদি দেশের মানুষকে আবার অত্যাচার করতে চায় তাহলে তাদের কোনও ছাড় নেই। যেকোনও মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
সোমবার (২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকার ম্যাথডিস্ট চার্চ হলে নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
বাংলাদেশের মানুষ ভোটচোরদের ক্ষমতায় থাকতে দেয় না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট চুরির অপরাধে দেড় মাসের মাথায় থ৯৬ সালের ৩০ মার্চ খালেদা জিয়াকে হটিয়ে দেয় জনগণ। এরপর নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি। তখন মানুষ উপলব্ধি করে সরকার জনগণের সেবক হয়, জনগণের জন্য কাজ করে। কিন্তু ২০০১-এ? আবার চক্রান্তের শিকার হই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে প্রচুর অর্থ সম্পদ বানিয়েছে। জনগণ কিছু না পেলেও তারা মানি লন্ডারিং করে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের কারণেই দেশে ইমার্জেন্সি হলো। আমাকেই প্রথম জেল খাটতে হলো। তারা আন্দোলন করুক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে আগে থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। লন্ডনের বাইরের দূরদূরান্তের শহর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই সভায় যোগ দিতে আসেন অনেকে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন ত্যাগ করবেন। ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।