কাঠফাটা রোদে যে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে, তার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন কি? সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাও সান ট্যানিং আপনি ফেসপ্যাকের মাধ্যমে দূর করতে পারেন। কিন্তু সানবার্নের সমস্যাকে সহজে এড়ানো যায় না। বেশিক্ষণ রোদে থাকলে ত্বক ঝলসে যাচ্ছে। চামড়া পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ত্বক বাড়ছে জ্বালাভাব, চুলকানি ও র্যাশের সমস্যা। এই সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম মিলবে কীভাবে?
কিছু কিছু মানুষের ত্বক সংবেদনশীল হয়। রোদে বেরোলেই ত্বকে জ্বলতে শুরু করে। অনেক সময় ত্বকের কোনও নির্দিষ্ট অংশ রোদে পুড়ে যায়। ওই অংশের ত্বকের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। অনেক সময় লালও হয়ে যায়। সময় মতো এই সানবার্নের চিকিৎসা না করালে আপনার ত্বকেরই ক্ষতি।
সানবার্নের কারণে ত্বক কুঁচকে যায়, রক্তাভ হয়ে থাকে। ফোসকার মতো ত্বকে ঘা দেখা দেয়। তাছাড়া, ত্বক মারাত্মক জ্বলতে থাকে। এই অবস্থায় ত্বকের জ্বালাভাব থেকে রেহাই দিতে পারে বরফ। ত্বকের যে অংশ পুড়ে গেছে, তার ওপর কোল্ড কমপ্রেস করুন। প্রয়োজনে ঠান্ডা জলে স্নানও করে নিতে পারেন। এতে ত্বকের জ্বালাভাব কমে যাবে। পাশাপাশি র্যাশের ঝুঁকিও কমবে। কিন্তু ত্বকের ওপর সরাসরি বরফ ঘষবে না। একটি সুতি কাপড়ে বরফ মুড়ে সানবার্নের ওপর চেপে ধরুন। ৫ থেকে ১০ মিনিট রাখলেই জ্বালাভাব কমে যাবে।
বরফ ত্বকের প্রদাহ কমায়। রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোকে। এতে সানবার্নের জ্বালাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি র্যাশের সম্ভাবনাও কমে। সানবার্নের ওপর কোল্ড কমপ্রেস করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। প্রয়োজনে ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন সানবার্নের ওপর। এতে সাময়িক আরাম মিলবে।
পাশাপাশি, ত্বকের সমস্যা কমাতে এই গরমে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে। আর সানবার্নের হাত থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।