নিয়মিত উসকানিমূলক বক্তব্যের পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার যে নজির যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আগামী নির্বাচনের প্রার্থী ট্রাম্প বছরের পর বছর ধরে স্থাপন করে চলেছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে ডোমোক্রেটিক পার্টির সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বাইডেন বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে বেড়াচ্ছেন যে আমরা না কি হারতে চলেছি; কিন্তু বাস্তব সত্য হলো— আমরা নই, হারতে যাচ্ছেন তিনি।”
“তিনি প্রায়ই বলে বেড়ান যে, ডেমোক্রেটিক পার্টির অধীনের গত ৪ বছর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়ের বছর। কিসের ভিত্তিতে তিনি এসব কথা বলেন? আমাকে এমন একটি রাষ্ট্রের নাম বলুন তো, যেটি মনে করে যে আমরা আর বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সক্ষম নই? যদি আমরা সক্ষম না হই, তাহলে কে সক্ষম?”
“আমাদের সেনাদের, যারা এই দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে তিনি একাধিকবার ভীতু এবং পরাজিত বলেছেন; কিন্তু তিনি নিজে কী? একবার তিনি নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন?”
ট্রাম্পের ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন জো বাইডেন। বলেন, “তার এই নীতি বৈশ্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে, ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব বাড়িয়েছে এবং রাশিয়াকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছে।”
“আর মুখে আমেরিকা প্রথম বললেও তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সামনে মাথা নত করেছেন। আমি কখনও এমনটা করিনি এবং কমলা হ্যারিসও করবে না।”
আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ট্রাম্প, যিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে অবশ্য তিনি পরাজিত হন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে।
এবারের নির্বাচনেও ট্রাম্প-বাইডেনের দ্বৈরথের কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন বাইডেন। তার স্থলে নতুন প্রার্থী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস।