শীতে কাঁপছে দেশ। উত্তরাঞ্চলে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। টানা এ শৈত্যপ্রবাহে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানান রোগ। এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতের তীব্রতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
জরুরি এ নির্দেশনা অনুযায়ী- চলমান শৈত্যপ্রবাহে দেশের যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামবে, সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা যাবে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী।
শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সংক্রান্ত এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা ওইসব জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত ওইসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
জানতে চাইলে এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী জাগো নিউজকে বলেন, টানা এক সপ্তাহ দেশে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এতে শিশুরা চরম কষ্টে স্কুলে আসছে। অনেকে শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষার্থীদের এভাবে ক্লাসে আনতে চায় না সরকার। সেজ্য আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলসহ চুয়াডাঙ্গা ও আশপাশের জেলাগুলোর অবস্থা খুবই বেগতিক। শৈত্যপ্রবাহ কেটে গিয়ে তাপমাত্রা বাড়লে (১৭ ডিগ্রির ওপরে উঠলে) স্কুল খুলে দেওয়া হবে।