
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কান্ট্রি অফিস স্থাপনের প্রতিবাদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে “সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ, নোবিপ্রবি” ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন, যা দেশের সার্বভৌমত্ব, ফিলিস্তিনের গাজ্জায় মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং পশ্চিমা এজেন্ডার বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে। প্ল্যাকার্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—“গাযায় যখন মানুষ মরে, জাতিসংঘ কি করে?”, “No need to stay, Go Back UN”, “সমকামিতা সহ পশ্চিমা সকল এজেন্ডাকে রুখে দাও”, “মানবাধিকারের নামে রাজনৈতিক দখলদারিত্ব বন্ধ করো”।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, জাতিসংঘের এই উদ্যোগ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং সামাজিক মূল্যবোধ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র। তারা দাবি করেন, দেশে আইনগত কাঠামোর মাধ্যমে মৌলিক অধিকার বাস্তবায়িত হচ্ছে, সুতরাং বিদেশি প্রভাবের কোনো প্রয়োজন নেই।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাফওয়ান বলেন,” আমরা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের এই শান্তি- সম্প্রীতির সমাজকে বিনষ্ট করতে দিতে চাই না। আমরা ইন্টারিমের কাছে দাবি জানাই আপনারা অনতি বিলম্বে এ দেশের সাধারন মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে এই কমিশনের কার্যক্রম বাতিল করবেন।”
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নেহাল আহমেদ বলেন, “সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হওয়া উচিত। মানবাধিকার অফিসের নামে বিদেশি হস্তক্ষেপ দেশের ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক মূল্যবোধ ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।”
শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে জাতিসংঘের এই কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।