![](https://i0.wp.com/muktokolom.news/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?w=696&ssl=1)
দুয়ারে কড়া নাড়ছে অমর একুশে বইমেলা। ১ ফেব্রুয়ারি ভাষার মাসের প্রথমদিন শুরু হবে এ মেলা। ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো মেলার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি।
‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত হচ্ছে এবারের অমর একুশে বইমেলা। ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে মেলার দুই প্রান্ত। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে ঠুকঠাক শব্দ। কোথাও চলছে রঙের কাজ। নানাভাবে স্টল ও প্যাভিলিয়ন সাজিয়ে নেওয়ার কাজও চলছে পুরোদমে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান : ভলিউম-২’ সহ কয়েকটি গ্রন্থ-উন্মোচন করবেন। এসময় তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও দেবেন।
সরেজমিনে বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলো প্রস্তুত হচ্ছে। কোনো প্যাভিলিয়ন বা স্টলের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আবার কোনো কোনো স্টলের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে, চলছে সাজসজ্জা ও রঙের কাজ। আবার কোনো স্টলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই বই এনে গোছানো শুরু হয়েছে। অন্যদিকে উদ্বোধন ঘিরে নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগাদা দেখা গেছে।
বইমেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, অক্ষর প্রকাশনী, ভাষাচিত্র, আদর্শ, এশিয়া পাবলিশার্স, ত্রয়ী প্রকাশনী তাদের সব স্টল ও প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ শেষে করে বই গোছাতে শুরু করেছে।
এ ছাড়া অনন্যা, শিখা, সূবর্ণা, শিকড় প্রকাশনীসহ বেশ কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হলেও তারা বই এখনো বই গোছানোর কাজ শুরু করেনি। তবে বই আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্য স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজও শেষ দিকে। এখন চলছে সাজসজ্জা ও রঙের কাজ।
এদিকে বৃহস্পতিবার মেলা প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বইমেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন) ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।
বাংলা একাডেমির তথ্যমতে, অধিবর্ষ হওয়ায় এ বছর বইমেলা চলবে ২৯ দিন। মেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে এবার আয়োজন করা হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। এতে থাকছে ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৩৭টি প্যাভিলিয়ন। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিটসহ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।