টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৫ চক্রের অধীনে সদ্য সমাপ্ত সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। যেখানে স্বাগতিক পাক বাহিনীকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। এমন ঐতিহাসিক জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে বড় লাফ দিয়েছে। একই সময়ে চলমান এই টুর্নামেন্টের ফাইনালের সূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি।
২০২৫ সালের ১১ জুন থেকে ইংল্যান্ডের লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। এখন পর্যন্ত ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে আছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। চলমান চক্রে রোহিত শর্মার দল সর্বোচ্চ ৬৮.৫২ শতাংশ এবং প্যাট কামিন্সের অষ্ট্রেলিয়া ৬২.৫০ শতাংশ টেস্ট ম্যাচ জিতেছে। এই দুই দলই গত চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল। এরপর ভারতকে হতাশায় ডুবিয়ে টেস্টের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতে অজিরা।
আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে ফাইনালের সূচির ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। একইসঙ্গে ‘দা আল্টিমেট টেস্ট’ এর জন্য ১৬ জুন একদিন রিজার্ভ ডেও রাখা হয়েছে। বর্তমানে চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আসরটি তৃতীয়। টেস্টের প্রথম চক্রে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০২১ আসরে ভারতকে তারা ৮ উইকেটে হারায়। দ্বিতীয় চক্রেও রানার্সআপ দলটি শিরোপা খোয়ায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। কামিন্সের দল লন্ডনের ওভালে ২০৯ রানে বড় ব্যবধানে প্রথম টেস্টসেরা হয়।
ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে এমসিসির প্রধান নির্বাহী ও সেক্রেটারি গাই ল্যাভেন্ডার বলেছেন, ‘প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে লর্ডসে, এ কাজে আইসিসির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত। যেকোনো টুর্নামেন্টেরই ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, আমরা টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে সেরা দুটি দলকে স্বাগত জানাতে চাই। এটি এমন এক অভিজ্ঞতা যা হাতছাড়া করতে রাজি নই, এটি লর্ডসের ১৪০ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।’
ফাইনালের আগে পরবর্তী গ্রীষ্মে চ্যাম্পিয়নশিপের আরও একটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করবে লর্ডস। ভারত-ইংল্যান্ড ২০২৫ সালের ১০-১৪ জুলাই সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলবে ওই ভেন্যুতে। টুর্নামেন্টটির ফাইনালে উঠতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই হোম কন্ডিশনের বাড়তি সুবিধা পাবে ইংলিশরা। ভালো সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনেও। ফাইনালে উঠলে টানা ছয়টি টেস্টই তারা ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলবে।
এদিকে, পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চারে উঠে গেছে। চলমান এই টুর্নামেন্টে তাদের জয় ৪৫.৪৩ শতাংশ। তাদের সামনে তিনে অবস্থান নিউজিল্যান্ডের। কেইন উইলিয়ামসনদের জয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ থেকে নিচের দিকে যথাক্রমে অবস্থান ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের।