নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়ক সোনাপুর-নোবিপ্রবি রাস্তাটির প্রায় অর্ধেক অংশ দেবে গেছে। রাস্তায় দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল।
নিয়মিত এ রাস্তা হয়েই যাতায়াত করছে ক্যাম্পাসের একতলা এবং দোতলা বাসগুলো। যার ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থী এই রাস্তায় চলাচল করছে।
সড়কটি সংস্কারে সড়ক বিভাগ থেকে প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো আশানুরূপ কোন কাজ লক্ষ করা যায় নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি সোনাপুর খালের খনন কাজ করা হয়েছিল। যার ফলে সোনাপুর-ক্যাম্পাস সড়কটির একটি অংশে পূর্ব পাড় ভেঙে যায় এবং কিছুটা দেবে যায়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পূর্ব পাশের বেশিরভাগ অংশ খালের ভেতরে পড়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতল বিআরটিসি বাস যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। কিছু কিছু শিক্ষার্থী বাসে যাতায়াতে ভয় পাচ্ছে এবং পকেটের টাকা খরচ করে রিক্সা বা অটোতে যাতায়াত করছে।
এ পথে যাতায়াতকারী নোবিপ্রবির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরানুল ইসলাম জানান, “রাস্তার যা অবস্হা, এই অবস্থা এই রাস্তার উপর গাড়ি চালানোটা ই সম্পূর্ণ রিস্ক। যেকোন মুহূর্তে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে”।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ‘খাল খনের পূর্বে আমাদের সাথে কথা বলা হয়নি, যার ফলে রাস্তাটি খাল ভাঙনের কবলে পড়ে। এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় হেলে পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সংস্কারের।’
এর আগে নোবিপ্রবি প্রক্টর ইকবাল হোসেন সুমন জানান, ভাঙা সড়ক মেরামতের জন্য নোবিপ্রবির প্রতিনিধি দল সড়ক বিভাগ বরাবর একটি স্মারক লিপি জমা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেছিল নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।