প্রথম ইনিংসে ৯২ রানের লিড পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সিলেটের উইকেটে সেটা বড় লিডই। তার সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীরা যোগ করেছে ৪১৮ রান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ৫১১ রানের। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস তো বটেই টেস্ট ইতিহাসেও এত রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নেই।
৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও তাদের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। ৬৪ রানে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারায় তারা। নতুন বলে দ্রুত উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ।
তবে আরও একবার মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা-কামিন্দু মেন্ডিস জুটি। এবারও দুজনই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ১৬৪ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ধনাঞ্জয়া। সেঞ্চুরি করার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। সবমিলিয়ে ১৭৯ বলে ১০৮ রান করেছেন লঙ্কান অধিনায়ক।
আরেক ব্যাটার কামিন্দু শতক স্পর্শ করতে সময় নিয়েছেন ১৭১ বল। তিনি শেষ পর্যন্ত করেছেন ২৩৭ বলে ১৬৪ রান। এই দুজনের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৪১৮ রানে থেমেছে। বাংলাদেশের হয়ে ৭৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। যেখানে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন কামিন্দু ও ধনাঞ্জয়া। আর বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ১৮৮ রান। যেখানে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছিলেন তাইজুল ইসলাম।
দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চাপেই যেন ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরেছেন টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটার। সিলেটের মিরাক্কেল কিছু না ঘটলে সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান। উইকেটে আছেন মুমিনুল হক ও লিটন দাস। বাংলাদেশের জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ৪৬৪ রান। হাতে আছে ৫ উইকেট।