চীনের সরকার নতুন যে মানচিত্র নীতি নিয়েছে তা নিয়ে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির নতুন দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ। তারা বলছেন, নতুন এই নীতির জেরে এই মুহূর্তে চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্র রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হতে পারে দেশটির।
চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এখন থেকে চীনের মানচিত্রে দেশটির ভূখণ্ডের অন্তর্ভূক্ত সব এলাকার নামের পাশে ব্র্যাকেটে চীনা ভাষায় ওই অঞ্চলের স্থানীয় নাম ও অঞ্চলটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণী থাকবে। অনেক আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকের মতে, নতুন এই পরিকল্পনা চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির তিক্ততা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
মানচিত্র সম্পর্কিত নতুন নীতি নিয়ে সীমান্তবর্তী বিবাদপূর্ণ এলাকাগুলোকে নিজেদের বলে দাবি করার নতুন সুযোগ চীন সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে— নতুন এই নীতির ফলে বর্তমানে চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে কি টানাপোড়েন শুরু হবে দেশটির? কারণ রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরশহর ভ্লাদিভস্তককে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। চীনের নতুন মানচিত্রে ভ্লাদিভস্তকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইশেনওয়াইথ।
এই ব্যাপারটিই চীন-রাশিয়ার বন্ধুত্বের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। কারণ ভ্লাডিভস্তক একাধারে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং পর্যটনের কেন্দ্র।
চীনের মানচিত্রে ভ্লাদিভস্তককে হাইশেনওয়াই বলে উল্লেখ করায় পশ্চিমা, জাপাডনি ও ইউক্রেনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেক রুশ। তাদের অভিযোগ, মানচিত্রে অন্তর্ভূক্তির মধ্যে দিয়ে ভ্লাদিভস্তককে পরক্ষোভাবে নিজের বলে দাবি করেছে চীন।
তবে রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা এ প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু বলেননি।
উপদেষ্টা সম্পাদক: এএসএম মাঈন উদ্দিন পিন্টু
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ তাওহীদুল হক চৌধুরী
ফোন: ০১৭৯১-২৬৭৭২৪, বার্তা বিভাগ: ০১৮৪৮-৩৩০৬৭৮
ই-মেইল : mail.muktokolom24@gmail.com
Copyright © 2025 মুক্ত কলম নিউজ. All rights reserved.