গাজায় এখন যা ঘটছে তা গণহত্যা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার এবং তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকার অধিকার রয়েছে।
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণের ফাঁকে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে সাক্ষাৎকার দেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশ সবসময়ই গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা। তাই আমরা কখনই এটিকে সমর্থন করি না।তাদের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই যুদ্ধ খুব দ্রুত বন্ধ করা।”
আনাদোলু লিখেছে, অবরুদ্ধ গাজায় বাংলাদেশ সাহায্য পাঠিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা নারী ও শিশুসহ ফিলিস্তিনের জনগণকে সমর্থন আর সাহায্য পাঠাতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর পরিকল্পিত অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এমন আক্রমণকে বাংলাদেশ কখনো সমর্থন করবে না। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়ন করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুটি রাষ্ট্রের তত্ত্ব রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত।
আনাদোলু লিখেছে, ইসরায়েলের আক্রমণে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে রাফায়। কিন্তু শহরটিতে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই অভিযান বা হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অনেক দেশ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের আক্রমণে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। উপুর্যপুরি হামলায় ধ্বংস্তূপে পরিণ হয়েছে গাজা। জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় উপাদানের ব্যাপক সংকটে মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের সংকট তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।