সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) খেলার মাঠে বল লাগাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে এক ছাত্রী সহ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে যেয়ে দর্শক ছাউনিতে বসা এক ছাত্রীর গায়ে বল লাগাকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে দুই বিভাগের ছাত্রীদের মাঝে প্রথমে হাতাহাতি হওয়ার এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।
অভিযোগকারী সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছাত্রী শারমিন আক্তার সিমু বলেন, ‘প্রথমে ইংরেজি বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী আমার গায়ে বল লাগায় এতে আমার অনেক খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। তারা আমার কাছে দুঃখিত প্রকাশ করতেও আসেনি, পরবর্তীতে তাদের কাছে বলা হলে তারা কোনো উত্তর না দিয়ে আবার খেলা চলমান রাখে। কিছুক্ষণ পরে আরেক ছাত্রী ‘মালিহার’ গায়ে বল লাগায় ,পরে উচ্চসরে প্রতিবাদ জানানো হলে, কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয় এবং আমাদের মারধরের ঘটনা ঘটে। তখন আমাদের সহপাঠী সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম নুর ও তানভির থামাতে গেলে তাদেরকে প্রচুর পরিমাণ মারধর করে ইংরেজি বিভাগের কিছু শিক্ষার্থীরা।’
এদিকে অভিযুক্ত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘খেলার সময় বল লাগতেই পারে, তবে বল লাগার পর প্রথমে শিমু আপুকে অনেক বার করে স্যরিও বলেছে সবাই, ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তারপরও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করার পর তেড়ে আসলে আমাদের সহপাঠী এক ছাত্রী তাকে আটকাতে গেলে তাকে গুরুতরভাবে মেরে শিমু। পরে এক পর্যায়ে হাতাহাতি ঘটে। এসময় এমনকি আমার গায়ে হাত তোলে সে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী বলেন, আমি ছাওনিতে বসে ছিলাম একাই মেয়ে ইংরেজি বিভাগের। পরে বল লাগা দিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে যেহেতু একজন মেয়ের সাথে ছেলেদের কথাকাটাকাটির পরে হাতাহাতির পর্যায়ে যায় সেহেতু আমি ঠেকাতে গেলে আমাকে আপু মেরে বসেন। পরে ওখানকার ছেলেরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হলে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আহত সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ৩ শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার শিমু,
মাহফুজ আলম নুর ও তানভির দেওয়ান কে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তৎক্ষণাৎ গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিলুফার সুলতানা বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামীকাল এবিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও দুই বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী ও বাদী-বিবাদী শিক্ষার্থী সহ সকলকে নিয়ে সুষ্ঠু বিচার কার্য সম্পন্ন হবে। তবে এ পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য্য ধরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। অবশ্যই ন্যায্য বিচার হবে।’