ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় হলে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী।
আজ (মঙ্গলবার) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
কেকা রায় চৌধুরী বলেন, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কোচিং করাতে পারবেন না। কেউ কোচিং করালে তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে। উচ্চতর কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবিতে কলেজ প্রাঙ্গণে আন্দোলন করবেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করেছেন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আজিমপুর শাখার শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকার।
শিক্ষার্থীদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুরাদ হোসেন সরকার আজিমপুর শাখায় তার অধীনে থাকা ছাত্রীদের ‘বাবার মতো’ আদর করার নামে যৌন হয়রানি করেছেন। এই কুৎসিত কর্মের শাস্তি হিসেবে তাকে বহিষ্কার না করে, হজ করে আসায় তার অপরাধকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে। শুধু শাখাপ্রধানের মনিটরিং বাড়িয়ে দিলেই আমাদের পক্ষে স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে এমন নিকৃষ্ট মানুষের সাথে থেকে নিরাপদ অনুভব করা সম্ভব নয়। আমরা অপরাধের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে সোমবার রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শিক্ষক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন এক অভিভাবক।