কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে মারতে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইকিউএসির পরিচালক ও উপাচার্যপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কোষাধ্যক্ষের সাথে শিক্ষক সমিতির আলোচনার সময় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনে তার গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সাথে ট্রেজারারের কথা চলাকালীন আইকিউএসির ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ পিছন থেকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেকে মারতে তেড়ে যান। এসময় শিক্ষক সমিতি ও উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা দফায় দফায় বাগবিতণ্ডায় জড়ান। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রশাসন যে কমিটি গঠন করে অধ্যাপক ড. মো. রাশিদুল ইসলাম শেখ ঐ কমিটির অন্যতম সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ট্রেজারারের অনুমতিক্রমে যখন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন আইকিউএসির ডিরেক্টর শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলা করেন। বর্তমান পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রশাসন থেকে যে চিঠি দিয়েছিল, সাধারণ সম্পাদক সেই চিঠিই পড়ছিলেন। কিন্তু ওনি কি বুঝে হামলা করলেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। এমন হতে পারে তাদের চিঠি তাদেরই বিরুদ্ধে গেছে অথবা চিঠির ভাষা তারা নিজেরাই বুঝতে পারেননি। এজন্য হামলা করতে পারে। তবে ওনি একজন শিক্ষক হিসেবে এভাবে আরেকজন শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করলেন এবং হামলা করলেন তা কোনোভাবেই শিক্ষকসুলভ আচরণ না।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ট্রেজারারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর ওনি পরিবহন সেবা গ্রহণ করতে পারবে না। তাই আমরা ওনাকে এ বিষয়ে রিকুয়েষ্ট করতে আসি। কিন্তু ঘটনার একপর্যায়ে আইকিউএসির ডিরেক্টর শিক্ষক সমিতির সভাপতির উপর হামলা করেন। ওনি ট্রেজারারের ইন্দনেই হামলা করেছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতির উপর হামলা করা মানে আমাদের সকল শিক্ষকদের উপর হামলা। এখন আমাদের দাবি অতি দ্রুত তাকে আইকিউএসির ডিরেক্টরের পদ থাকা বরখাস্ত করতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ট্রেজারারকে উদ্দেশ্য করে যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন পিছন থেকে আইকিউএসির ডিরেক্টর বলেন, এগুলো মিথ্যা। তখন আমি বলছি ওনাকে (শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক) বলতে দেন। কিন্তু তখন ওনি সুযোগ না দিয়ে আমার দিকে মারতে তেড়ে আসেন।
এবিষয়ে আইকিউএসির ডিরেক্টর ও লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো.রশিদুল ইসলাম শেখ বিষয়টিকে অস্বীকার করে বলেন, তাদের এ অভিযোগ মিথ্যা। তারা সেখানে চিঠির ভুল ব্যখ্যা করতেছিলো আমরা সে চিঠির সঠিক ব্যখ্যা চেয়েছি। সবার সবার সামনে চিঠির ভুল ব্যখ্যা করতেছিলো তখন কাউকে না কাউকে প্রতিবাদ করতে হতো। তখন আমি প্রতিবাদ করেছি। খোঁজ নিয়ে দেখেন অতীতে তারা কি করেছে আর আমি কি করেছি। আমি কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি কিনা খোঁজ নিয়ে দেখেন। তারা এবিষয়টি নিয়ে ডাহা মিথাচার করেছে।