কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা আবারও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং রেললাইন অবরোধের হুশিয়ারি দেন।
আজ শনিবার (৬ জুলাই) রাত পোনে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে এই মিছিল শুরু হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এবং মেসের প্রায় তিনশো শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এরপর শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক থেকে সালমানপুর সড়ক হয়ে দক্ষিণমোড় এবং সেখান থেকে আবার প্রধান ফটক হয়ে শহিদ মিনারে অবস্থান নেন।
পথে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত কণ্ঠে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’। ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’। ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এরপর শহিদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই সময়ের বাস্তবতায় প্রথম মুক্তিযোদ্ধা কোটা চালু করেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এই কোটার কোনো প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করিনা। যেখানে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে কোটা বিলুপ্তি করেন সেখানে আবার এই কোটা প্রথা চালু করা আমাদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। আজ আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে হাইকোর্ট এটি বহাল রাখার সুযোগ পেয়েছে। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে অনতিবিলম্বে বাতিল চাই।
এছাড়া তাঁরা আরও বলেন, প্রতিবন্ধী এবং উপজাতি কোটা ছাড়া যদি অন্য কোন কোটা রাখা হয় তাহলে পুরো বাংলাদেশ অচল করে দেওয়া হবে৷ আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে আবারও মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে দিবো।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রায় তিন ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ত্যাগ করেন।