বুধবার (৩ এপ্রিল) ভোর থেকে শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনে করে ঈদযাত্রা। কমলাপুর স্টেশনে তাই ঘরে ফেরার জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তবে প্রথম দিনেই ঈদ যাত্রার ট্রেনের শিডিউলে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া ঈদ যাত্রার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে জানা গেছে, বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৬টায় রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ট্রেনটি স্টেশন ছাড়তে পারেনি। ট্রেনটি ৪ নম্বর প্লাটফর্মে অবস্থান করছিল।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ট্রেন কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি ৫ মিনিট দেরিতে প্লাটফর্ম ছেড়ে যায়। আর তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ৪ মিনিট দেরিতে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে প্লাটফর্ম ত্যাগ করে।
এদিকে প্ল্যাটফর্মে যেন কোনো টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্লাটফর্মের প্রবেশ মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারা (টিটিই) অবস্থান করছেন। তারা যাত্রীদের টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মিলিয়ে দেখছেন। যাদের টিকিট নেই, তারা কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করছেন।
স্টেশনে আসা যাত্রীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে সিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে গেলে ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
আব্দুল লতিফ নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটার ফলে এখানে এসে বাড়তি সময় নষ্ট করতে হয়নি। খুব সহজেই টিকিট পেয়েছি। এখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। সিডিউল অনুযায়ী ট্রেন ছেড়ে গেলেই হলো। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। এ বিষয়টিই আনন্দের।
উম্মে সালমা নামের আরেক যাত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে রোজায় গরমে কিছুটা হলেও সমস্যা করছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। কোনো ট্রেনে খুব বেশি বিলম্ব হয়নি। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি যাত্রীদের জন্য একটি সুন্দর ঈদযাত্রা আমরা উপহার দিতে পারবো।
উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন যাত্রার ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।