ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে গত ২৮ অক্টোবর এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ওই পুলিশ কী দোষটা করেছে? কোনো মানুষ কি পারে, যার ভেতরে এতটুকু মনুষ্যত্ব আছে?’
শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশ সেদিন (২৮ অক্টোবর) যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। অথচ তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ পেছনে হটেছিল, তারপরও এক পুলিশকে ধরে মাটিতে ফেলে তাকে লাঠিপেটা করেছে, হেলমেট খুলে মাথায় কুপিয়েছে। পুলিশের হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানে তাদের ওপর আক্রমণ করেছে। আমি ধিক্কার জানাই। এটা কি রাজনীতি?’
তিনি বলেন, ‘সেই ২০১৩-১৪ সালে ২৯ জন পুলিশ হত্যা করেছিল বিএনপি-জামায়াত। তারা (পুলিশ) কী দোষ করেছে? তারা তো চাকরি করে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস তাদের চরিত্র। তারা কথায় কথায় আগুন দেয়। ২৮ তারিখও একটা বাসে হেলপার ঘুমিয়ে আছে, সেই বাসে আগুন দিয়ে হেলপারকে হত্যা করেছে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে তারা প্রায় তিন হাজার ৮০০ মানুষকে পুড়িয়েছে। ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে। ৫২৫টা স্কুল পুড়িয়েছে। তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও-ধ্বংস করা তাদের উৎসব। এই হলো বিএনপির চরিত্র। তাদের আন্দোলন হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা ও সব কিছু ধ্বংস করা।’
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। যারা আগুন দিয়ে পোড়াবে, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যেই হাত দিয়ে আগুন দেবে, সেই হাত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে। তবেই তাদের শিক্ষা হবে।’