ইউরেনিয়াম কী জিনিস সেটা ওবায়দুল কাদের জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ একাংশের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও রোহিঙ্গা সঙ্কট: শহীদ আবরার ফাহাদের প্রেরণা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাদের যে কয়েকজন পড়াশোনা জানা মানুষ তাদের মধ্যে তিনি একজন। আমরা তাই জানতাম। কিন্তু তার কী করুন অবস্থা হয়েছে, সেটা জানতাম না। ইউরেনিয়াম কী জিনিস সেটার জন্যতো বিশেষ কোন জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। এটা হচ্ছে, এর আগে উনি উল্টা-পাল্টা কথা বলেছেন না? তলে তলে আপস হয়েছে। এটার জন্য মনে হয় তার মনিব ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সেটার জন্য হয়তো তারচেয়ে বেশি বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাই হয় আর কি। এসব দল ও সরকারগুলোতে তোষামোদি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, তখন তা হাস্যরসে পরিণত হয়।
তিনি বলেন, সরকার দেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্য পরিণত করেছে। এরা আসবে, লুট করবে- নিয়ে চলে যাবে। কথা বাড়াতে চাই না। কথা এখন একটাই, কোন কথা-বার্তা না বলে, কালবিলম্ব না করে আসুন আমরা সবাই দল-মত নির্বিশেষে বাম-ডান, উত্তর-দক্ষিণ বুঝি না, যারা দেশকে ভালোবাসেন তারা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েন।
ফখরুল বলেন, আমার এক জুনিয়ার ফ্রেন্ড বাইরে থাকে। ও আমাকে বলেছে যে, এধরণের কথা বলেছে, আপনি কিন্তু এর প্রতিবাদ করতে যাবেন না। কথাগুলো কিন্তু আমাদের জন্য বিনোদনের ব্যাপার হয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য বিনোদন। আমাদের জীবনতো দুর্বিষহ। এটুকু বিনোদন থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না। আর এসমস্ত কথা শুনে অতি দুঃখেও খুবই হাসি পায়।
রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা এমন কোন কাজ করবেন না যাতে আমাদের ঐক্যের ক্ষতি হয়। অনেকের মধ্যে আমরা এই প্রবণতাটা দেখেছি, অনেক সময় মনগড়া কথা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন। এটা করবেন না। এটা যারা করেন তারা আন্দোলনের জন্য কোন কাজ করছেন না। আন্দোলনের পিছনে ছুরি মারছেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, ঘরের মধ্যে সভা করার এখন আর সময় নেই। এখন সময় এসেছে বাইরে রাজপথে আমাদের কথাগুলোকে সামনে নিয়ে আসা এবং এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়ে আন্দোলন করে একে সরানো ছাড়া জাতীয় সামনে আর কোন বিকল্প নাই।
আওয়ামী লীগ যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন ভূতের মুখে রাম রাম মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকায় লোকের চেয়ে গ্রোমের লোকেরা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। গ্রাম এবং মফস্বলের মানুষের এই সরকারকে এক মুহূর্তও দেখতে চায় না।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকারের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান প্রমুখ।