আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে ভারী তুষারপাতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। তুষারপাতের কারণে বিভিন্ন প্রদেশের সড়ক ও মহাসড়কগুলো আটকে গেছে।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান সায়েক জানিয়েছেন, ৩৯ জন মানুষ প্রাণ হারানোর পাশাপাশি কয়েক হাজার পশুপাখিরও মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেছেন, “সাম্প্রতিক তুষারপাত ও বৃষ্টিতে ৬৩৯টি আবাসিক ভবন আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ১৪ হাজার গৃহপালিত পশুপাখি মারা গেছে।
একইসঙ্গে এই তুষারপাত অনেকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। কারণ এটির মাধ্যমে কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আফগানি সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস জানিয়েছে, টানা চারদিনের তুষারপাতের পর সোমবার (৪ মার্চ) থেকে আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে সালাং মহাসড়ক। এখন ওই সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
তুষারপাতের জন্য সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় এত হতাহত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও অতিবৃষ্টি ও তুষারপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির অনেক অঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
পাকিস্তানে গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও তুষারপাতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়াতে। নিহতদের মধ্যে ১৬ জনই হলো শিশু। রোববার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বৃষ্টি ও তুষারে শুধুমাত্র খাইবার পাখতুনখাওয়াতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। যার মধ্যে শিশ ১৪ জন। এছাড়া বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন আরও ৩৪ জন। পাকিস্তানের প্রাদেশিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়ার সড়কগুলো খুলে দেওয়ার কাজ চলছে। তবে অব্যাহত তুষারপাতের কারণে এই কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পাশপাশি পাকিস্তানে অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া তুষারের নিচে আটকা পড়েছে অনেক পশুপাখি।
সূত্র: খামা প্রেস, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন