বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আন্দোলনে আমরা একা নই। আমাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বিশ্ব আছে।’ তাই তিনি সবাইকে একযোগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ও সরকার পতনের একদফাথ দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে এই সরকারকে বলবো সংসদকে বিলুপ্ত করে দিন। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। কিন্তু তারা জানেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তারা ১০টি আসনও পাবেন না। এ কারণে তারা দলীয় সরকারের অধীনে অবৈধভাবে আবারও নির্বাচন করতে চায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জনগণকে বোকা বানাতে চায়। আজকে দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি, মানুষের ঘরে চাল নাই ডাল নাই তেল নাই। এই দিকে সরকারের কোনো খেয়াল নাই। সরকারের খেয়াল একটাই কীভাবে ক্ষমতায় যেতে হবে, কীভাবে দেশকে শোষণ করা যায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভ সরকার ধ্বংস করেছে। এটাই পরিষ্কার সরকার রাষ্ট্র চালাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ’।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে আর বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল মিল্টন, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।