কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অটোরিকশা থেকে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—পাকুন্দিয়া উপজেলার বীর পাকুন্দিয়া এলাকার আলী আকবরের ছেলে কাউসার আহম্মেদ, একই এলাকার খসরু মিয়ার ছেলে জুবায়েদ হাসান শুভ ও চরপাকুন্দিয়া গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন রাজু।
পুলিশ জানায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার এই তরুণী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে অটোরিকশায় করে তারাকান্দি বাজারে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু সাব্বির হোসেন, সাব্বিরের বন্ধু অটোরিকশাচালক হুমায়ুন কবির ও আশরাফ। এ সময় স্থানীয় কাউসার আহম্মেদ, জুবায়েদ হাসান শুভ, মেহেদী হাসান, হৃদয়, বাবু, তোফাজ্জল হোসেন রাজু ও ইয়াসিন অটোরিকশাটিকে জোর করে তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে নিয়ে যান। সেখানে মুক্তিপণ বাবদ তারা সাব্বিরের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। না দিলে অটোরিকশাসহ তরুণীকে আটকে রাখার হুমকি দেন তারা। পরে তারা অটোরিকশার চালক ও তরুণীর বন্ধুদের মাদ্রাসার মাঠে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে তরুণীকে মাদ্রাসার পাশে একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে হৃদয়, মেহেদী, বাবু, কাউসার ও শুভ পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় মাদ্রাসার মাঠে থাকা সাব্বিরের বন্ধু আশরাফ মুক্তিপণের টাকা সংগ্রহের কথা বলে কৌশলে থানায় এসে পুলিশকে খবর দেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার এসআই দ্বীন ইসলাম, এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই রাকিব উজ্জামান খান তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ কাউসার আহম্মেদ, জুবায়েদ হাসান শুভ ও তোফাজ্জল হোসেন রাজু নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনায় রোববার পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণে সহায়ক আলামত জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তা ছাড়া তিনি ভিকটিম ও গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।