নোয়াখালীতে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৭০০ টাকা বেশি নেওয়ায় পল্লী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে লাইসেন্স ও ডাক্তার না থাকাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার করায় জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে কালাদরাপ ইউনিয়নের করমুল্লা বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়জীদ বিন আকন্দ।
আদালত সূত্র জানায়, সরকার নির্ধারিত ফি থেকেও বেশি ফি আদায় করার অভিযোগ পেয়ে অভিযানে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৩০০ টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা আদায় ও লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার, ডাক্তার ব্যতীত প্যাথলজিকাল টেস্ট পরিচালনার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তাৎক্ষণিক জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং পল্লী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়জীদ বিন আকন্দ জানান, প্রতিষ্ঠান দুটি চিকিৎসা সেবার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। কোনো লাইসেন্স নাই, চিকিৎসক নাই, ইচ্ছামতো রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা পল্লী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ এবং জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে আরেক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সিলগালা করে দিয়েছি। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে নোয়াখালী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত জাবীন ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।